ভবনের নকশার অনুমোদন নেই ছিল না নিরাপত্তা

সময়: 9:30 pm - April 7, 2024 | | পঠিত হয়েছে: 31 বার

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সাত মসজিদ রোড এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের রড পড়ে পথচারী এসএম হাসানের (৪৬) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার তার স্ত্রীর বড় ভাই মো. সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন। এতে সাত মসজিদ হাউজিংয়ের সেক্রেটারি সোহেলসহ ৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) একটি টিম। এ সময় রাজউক জানায়, নির্মাণাধীন ভবনটির নকশার অনুমোদন ছিল না। বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কাজ বন্ধ করেনি। শুধু নির্মাণাধীন ভবনটিই নয়, পুরো সাত মসজিদ হাউজিংয়ের অনুমোদন নেই বলে জানানো হয়।

মামলার বাদী সেলিম যুগান্তরকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৩ নামের উল্লেখ এবং ৪৫-৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছি। তবে মামলার কপি এখনো পাইনি। সোমবার (আজ) কপি দেওয়া হবে বলে থানা থেকে জানানো হয়েছে। তিনি জানান, রোববার দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে হাসানের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিকালে পরিবারের লোকজন লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি গেছেন। হাসান চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার জুইডন্ডী গ্রামের ফজল আহমেদের ছেলে। পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।

স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যানের ভেতরে সাত মসজিদ রোড মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন হাসান। পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ চলছিল। হঠাৎ ভবনের পাইলিংয়ের রড ভেঙে তার মাথায় পড়লে গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সরেজমিন দেখা যায়, কোনো ধরনের নিরাপত্তা ছাড়াই মূল সড়কের পাশে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছিল ভবনটি। ১৬ কাঠা জায়গার পুরোটা জুড়ে পাইলিংয়ের কাজ চললেও কোনো পাশে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। একটি ব্যস্ততম রাস্তার পাশে এভাবে নির্মাণ কাজ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, ভবনের মালিকদের মধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী যেমন রয়েছেন, তেমিন পুলিশেরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন। ক্ষমতার দাপটে কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়া দিন-রাত পাইলিংয়ের মেশিনগুলো চালানো হচ্ছিল। স্থানীয়রা নিষেধ করলেও তারা শুনতেন না। এর মধ্যে একদিন রাতে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশ এনে কাজ বন্ধ করা হয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

মোহাম্মদপুর থানার এসআই শফিউল জানান, মামলা হয়েছে। তবে কপি এখনো পাইনি।

এই বিভাগের আরও খবর